ইমাম মাহদি দাবিদার সৌদি প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিক মুস্তাক মুহাম্মদ আরমান খানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী সিরাজুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে।মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) রাজধানীর দক্ষিণ বাড্ডা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের একটি টিম।
সিরাজুল ইসলাম একজন চাটার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। দক্ষিণ বাড্ডায় সপরিবারে বসবাস করতেন তিনি। ডিএমপি নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কাউন্টার টেরোরিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সিরাজুল ইসলাম কথিত ইমাম মাহদি দাবিদার মুস্তাক মুহাম্মদ আরমান খানের সহযোগী হিসেবে ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে আসছিলেন। মুস্তাক মুহাম্মদ আরমান দীর্ঘদিন ধরে ইসলাম ধর্ম নিয়ে অপব্যাখ্যামূলক, মনগড়া ও ভিত্তিহীন বক্তব্য অডিও-ভিডিও আকারে ইউটিউব চ্যানেল ‘তাকওয়া অনলাইন টিভি’, অন্যান্য ইউটিউব চ্যানেল ও তার নিজ নামের ফেসবুক আইডি থেকে প্রচার করে আসছিলেন।
মুস্তাক মুহাম্মদ আরমান খানের অনুসারী হিসেবে কথিত বায়াত গ্রহণ করেন সিরাজুল ইসলাম। এসব অডিও-ভিডিও ফেসবুক, টেলিগ্রামসহ বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে প্রচার করে আসছিলেন তিনি। এছাড়া তিনি মুস্তাক মুহাম্মদ আরমান খানের অনুসারী সংগ্রহের জন্য অনলাইন ও অফলাইনের মাধ্যমে তৎপরতা চালাচ্ছিলেন।
সম্প্রতি ইমাম মাহদি দাবিদার মুস্তাকের বক্তব্যে বিভ্রান্ত হয়ে বাংলাদেশ থেকে বায়াত গ্রহণ করা ও কথিত জিহাদে অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে সৌদি আরব যাওয়ার সময় ১৯ জন গ্রেফতার হয়েছেন। এছাড়া ইতিপূর্বে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহের পাঁচজন ছাত্র ওমরাহ পালনের জন্য সৌদি আরব গিয়ে তার অনুসারী হিসেবে যোগদান করেন।
সিরাজুল ইসলামও সৌদি আরবে গিয়ে মুস্তাক মুহাম্মদ আরমান খানের অনুসারী হিসেবে যোগদানের পরিকল্পনা করছিলেন। তাকে রমনা মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ইতিপূর্বে দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।