শুক্রবার ২৯ নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১১
সংবাদ শিরোনাম :
স্ত্রী চান বিকিনি পরে ঘুরতে,তাই পুরো দ্বীপ কিনে নিলেন স্বামী।: অদ্ভুত ভালোবাসা। হত্যা মামলা থেকে ধর্ষক ছেলেকে বাচতে ভুক্তভোগী পরিবারের বিরুদ্ধে উল্টো অভিযোগ।: সিদ্ধিরগঞ্জ পাঠানটুলি মুহাম্মদ (সা.) এর পোশাক দেখতে ইস্তাম্বুলে হাজারো মানুষের ঢল তুমি কেমন ডিজাইনার? এতো যৌক্তিক তোমার ডিজাইন। বাংলাদেশের মাটিতে ভারতীয় দুতাবাস থাকতে পারবে না বলেছেন : মাওলানা মামুনুল হক বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অপহরন মামলা!: ক্ষমতা চলে গেলেই খেতে হয় মামলা! বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার পতন যেভাবে হলো বাজপাখির মাঝে জিপিআরএস সিস্টেম চালু করে বিজ্ঞানীরা আবিস্কার করলেন স্রষ্টার মহান নিদর্শন।: মহান রবের কুদরত অপরিসীম। ঈদ মোবারক: আজ পবিত্র ঈদুল ফিতর।সবাইকে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন শুভেচ্ছা। ডেঙ্গুতে ছোট ছেলের লাশ এক কক্ষে রেখে,বড় ছেলেকে আইসিউতে,দেখতে গেলেন জনমদুখিনী নার্স মা!!

মানব দেহের অজানা তথ্য!

skynews
  • প্রকাশিত : এপ্রিল, ২৫, ২০২২, ৭:২০ পূর্বাহ্ণ
  • ২৪২ বার দেখা হয়েছে

দেহের সব ক’টা সেল এ মাইটোকন্ড্রিয়া দেয়া হয়েছে। দেয়া হলোনা শুধু আরবিসিতে! কারণ, আরবিসি যদি একটা মাইটোকন্ড্রিয়ার মালিক হয়ে যেতো, তাহলে ফুসফুস থেকে যে অক্সিজেন বহন করে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তাঁকে প্রতিটি টিস্যুতে, গন্তব্যে যাবার আগেই সে নিজে এটা খরচ করে ফেলতো (কারণ, কারো কাছে যদি একটা মাইটোকন্ড্রিয়া থাকে, তবে সে এটার সাহায্যে অক্সিজেন পুড়িয়ে এটিপি অর্থাৎ শক্তি তৈরি করে ফেলতে পারবে। এটা হচ্ছে একধরণের ইঞ্জিনের মতো)। আমাদের টিস্যুগুলো তখন আর অক্সিজেন পেতোনা।

– তুমি কেমন ডিজাইনার? এত নির্ভূল আর যৌক্তিক তোমার ডিজাইনগুলো।

সেন্ট্রিয়োল দেয়া হল সবখানে। শুধু দেয়া হলোনা নিউরন আর গ্লিয়াল সেল এ। যদি আমাদের ব্রেইনের সেল গুলোতে সেন্ট্রিওল থাকতো, তাহলে এই সেন্ট্রিওল প্রতিটি কোষকে বিভাজিত করে নতুন কোষ তৈরী করে ফেলতো। ফলস্বরূপ, আমরা যা তথ্য সঞ্চয় করে রেখেছি আমাদের মেমোরিতে, সব এক প্রেসে কেল্লাফতে!! পাওনাদারের টাকা পাওনাদারও ভূলে যেতো দেওনাদারও ভূলে যেতো!

– তুমি কেমন ডিজাইনার? এতো যৌক্তিক তোমার ডিজাইন।

আমি যখন পোস্টেরিওর থোরাসিক ওয়ালের (বক্ষপিঞ্জরের পিঠের দিকের দিকের অংশ) ব্লাড সাপ্লাই ধরলাম, আমি জানতে পারলাম- এখানে ডিসেন্ডিং থোরাসিক এওর্টা মোটাদাগে সবাইকে সাপ্লাই দিচ্ছে। কিন্তু ২ মিনিটের একটা খটকা আমার লাগলো। কারণ আমি জানি, লেফট হার্ট থেকে এওর্টা বের হয়ে কার্ভ করে শেষে যখন ডিসেন্ড করতে শুরু করেছে, ততক্ষণে উপরের দু’টি রিবস (পাঁজর) মিস হয়ে গেছে। আবার এটাও ভাবলাম যে, কেউ তো দিয়েছে নিশ্চই। না হয় ব্লাড ছাড়া কিভাবে চলবে রিবস দু’টি। না, কেউ এসে দিয়েছে। জেনে গেলাম। ‘কস্টোসারভাইকাল ট্রাঙ্ক’ নামের একজন নেমে এসে ঠিকই দিয়েছে! যে ‘সাবক্ল্যভিয়ান আর্টারি’ তাঁরতাঁর চলে যাচ্ছিল, কি দরকার পড়লো ঐখানে দুটো ব্রাঞ্চ ছেড়ে দেবার!
আমি স্তব্ধ হয়ে গেলাম এক মুহুর্তের জন্য! তখনকার অনুভুতি কি যে ছিলো, বলে বোঝাতে পারবোনা।

-তুমি কেমন ডিজাইনার? তোমার ডিজাইন এত জ্যামিতিক।

টেবিলের এক কোণায় একটি বই রেখে দিলে তিন থেকে চার দিন পর সেখানে ১ সেন্টিমিটার ধূলোর আস্তর পরে। অথচ প্রতিটা অবচেতন মনে টেনে নেয়া শ্বাসে আধা লিটারের মত বাতাস টেনে নিচ্ছি প্রতি মুহূর্তে। একটু জোরে টান দিলেতো এক লিটারই ঢুকে পড়ে। বাতাসে এত ধূলিকণা আর জীবাণু! তবু কি আশ্চর্য্য!! কেকের মত স্পঞ্জি আর সফট ফুসফুসটার কিছু হয়না। আস্তরও পড়েনা। পড়বে কি করে? পুরো ট্রাকিয়া আর নাসাল এয়ার ওয়ে জুড়ে রয়েছে সিলিয়ারি বিট! প্রাকৃতিক ঝাড়ুদার। প্রতিনিয়ত ঝাড়ুদিচ্ছে ধূলিকণাগুলোকে।

-তুমি এ কেমন ডিজাইনার? এত নির্ভূল, নিখুঁত আর যৌক্তিক তোমার ডিজাইন!

“হে মানুষ সকল, তোমাদের কি এমন জিনিস যেটা তোমার রব থেকে তোমাকে গাফিল করে রেখেছে? অথচ তিনি তোমাকে কত সুন্দর করে সৃষ্টি করেছেন আর সামঞ্জস্য করে দিয়েছেন।”
-সূরা ইনফিত্বার (৫-৬)

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2020 SKY 24 tv
Design & Developed BY:
ThemesCell