পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করার বিষয়ে ভোট গ্রহণ করতে শনিবার দেশটির সংসদ অধিবেশনে বসবে বলে, শুক্রবার একটি আনুষ্ঠানিক নোটিশে জানানো হয়। এর ফলে দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে খানের মেয়াদ সংক্ষিপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার দেশটির সর্বোচ্চ আদালত রায় দেন যে, খানকে অবশ্যই অনাস্থা ভোটের সম্মুখীন হতে হবে। ব্যাপকভাবে ধারণা করা হচ্ছে যে ভোটটিতে তিনি পরাজিত হবেন। তেমনটি হলে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে দায়িত্বচ্যুত হবেন তিনি।
স্পিকারের দফতর একটি আদেশপত্রের মাধ্যমে জানায় যে, আইনসভার নিম্নকক্ষটির একটি অধিবেশন শনিবার সকাল ১০:৩০ মিনিটে আরম্ভ হবে। বিরোধী নেতা শেহবাজ শরীফের আনা অনাস্থা প্রস্তাবের ভোটটি আলোচ্যসূচির চার নম্বর ক্রমিকে রয়েছে।
২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন সাবেক ক্রিকেট তারকা ইমরান খান। শুক্রবার আরও পরে জাতির উদ্দেশ্যে একটি ভাষণ দেওয়ার কথা তার। বৃহস্পতিবারের রায়টির পর খান বলেন যে, “আমাদের দেশের উদ্দেশ্যে আমার বার্তাটি হল যে, আমি সবসময়ই (তাই) করেছি এবং ভবিষ্যতেও শেষ বলটি পর্যন্ত (পাকিস্তানের জন্য) লড়াই চালিয়ে যাব।”
রায়টিতে সুপ্রিম কোর্ট বলেন যে, গত রবিবারের জন্য নির্ধারিত অনাস্থা ভোটটিতে বাধা দিয়ে খান অসাংবিধানিক আচরণ করেছেন। ভোটটি বাতিলের পর সংসদ ভেঙে দিয়ে নতুন নির্বাচন আহ্বান করেছিলেন খান।
ঘটনাপ্রবাহে এই নতুন মোড়টি পাকিস্তানের চলমান সঙ্কটটিতে সর্বসাম্প্রতিক চমক। উদ্ভূত পরিস্থিতিটি ২২ কোটি মানুষের দেশটিতে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ফেলেছে। পাকিস্তানের ইতিহাসের অর্ধেক সময় ধরেই সামরিক বাহিনী দেশটিকে শাসন করেছে।
অনাস্থা ভোটটিতে খান পরাজিত হলে, বিরোধীদল প্রধানমন্ত্রীর জন্য একজন প্রার্থীকে মনোনয়ন দিবে।
আদালতের রায়টির পর,তিন মেয়াদের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের ছোট ভাই, শেহবাজ শরীফ জানিয়েছেন যে, খান ক্ষমতাচ্যুত হলে বিরোধীদল তাকে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের জন্য মনোনয়ন দিয়েছে।