পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার আসাদ কায়সার ও ডেপুটি স্পিকার কাসিম সুরি পদত্যাগ করেছেন। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের জেরেই তারা পদত্যাগ করেছেন।
শনিবার মধ্যরাতে একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। খবর জিও নিউজের।
পদত্যাগের খবর প্রকাশের আগে কায়সার ও সুরি প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে ইমরান খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন।
সূত্রটি জানায়, তারা শিগগিরই পদত্যাগের ঘোষণা দেবেন।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানে শনিবার প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের রাজনৈতিক ভাগ্য নির্ধারিত হবার কথা ছিল। এদিন পার্লামেন্টে বিরোধীদের আনা এক অনাস্থা প্রস্তাবে ভোট হওয়ার কথা থাকলে সকালে জাতীয় পরিষদের অধিবেশন শুরু হলেও বারবার তা মুলতুবি হয়ে যাওয়ায় ভোটাভুটি এখনও অনুষ্ঠিত হয়নি।
সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশনা অনুসারে শনিবার অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার আসাদ কায়সার। অধিবেশন শুরুর পর ১২টা পর্যন্ত অধিবেশন মুলতবি ঘোষণা করা হয়েছিল। স্বল্প-সময়ের জন্য আমজাদ আলী খান নিয়াজিকেও অধিবেশনের সভাপতিত্ব করতে দেখা গেছে। এর পর আসাদ কায়সার এসে নিজের আসনে বসেন। অধিবেশনের এজেন্ডার মধ্যে চতুর্থ নম্বরে ছিল অনাস্থা ভোট। সে অনুসারে ইফতারের পর অনাস্থা ভোট হওয়ার কথা জানান স্পিকার। তবে ইমরান খান সেসময় অনুপস্থিত ছিলেন।
অধিবেশনের শুরুতেই বিরোধীদের পূর্ণশক্তিতে হাজির হতে দেখা গেছে। সরকারি দলের মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরাইশি ও পিটিআই নেতা আমির দোগার অধিবেশনে অংশ নিয়েছেন। আর বিরোধীদের মধ্যে ছিলেন, বিলাওয়াল ভুট্টো-জারদারি, রানা সানাউল্লাহ, আয়াজ সাদিক, নাভিদ কামার ও মাওলানা আসাদ।
এদিকে ৩ এপ্রিল অনাস্থা ভোট বাতিলে ডেপুটি স্পিকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে একটি রিভিউ পিটিশন দাখিল করেছে সরকার। বৃহস্পতিবার আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, অনাস্থা ভোট বাতিল করে দিতে ডেপুটি স্পিকারের সিদ্ধান্ত ও পরবর্তীতে ইমরান খানের পরামর্শে প্রেসিডেন্ট ডা. আরিফ আলভির পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া অসাংবিধানিক।