অপহরণ নাটক সাজিয়ে বাবার নিকট থেকে টাকা আদায় করার চেষ্টার অভিযোগে দুই সহোযোগীসহ অপহরনের নাটক সাজানোর মূল হোতা পুত্র সজীব (১৬) কে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে তাদেরকে আটকের মধ্য দিয়ে সাজানো অপহরনের আট ঘন্টা নাটকের পরিসমাপ্তি ঘটায় পুলিশ।
আটকৃতরা হলো ফতুল্লা থানার লালখাঁর এডঃ মান্নানের বাড়ীর ভাড়াটিয়া বাবুল দাসের পুত্র রাজিব দাস (১৮) ও একই এলাকার আলতাফ মেম্বারের বাড়ীর ভাড়াটিয়া দেবল সরকারের পুত্র জনি সরকার(১৭)। তারা উভয়েই সস্তাপুরস্থ কমর আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর ছাত্র।
অপরদিকে অপহরন নাকট সাজানোর মাস্টার মাইন্ড সজীব সরকার সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই থানার রজেন্দ্রগঞ্জ আরসি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর ছাত্র। সে লালখার কাদিরর বাড়ীর ভাড়াটিয়া মনোহর সরকারের পুত্র। তারা স্ব-পরিবারে লালখা বসবাস করে।
ফতুল্লা থানার উপপরিদর্শক রাশেদুল ইসলাম জানায়, মঙ্গলবার দুপুরে মনোহর সরকার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে ছেলে সজিব সরকার রামারবাগস্থ আইডিয়াল কোচিং সেন্টারে প্রাইভেট পড়ে।
মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ৮ টার দিকে ছেলে সজিব প্রতিদিনের মতো লালখাস্থ বাসা থেকে কোচিং সেন্টারে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হয়ে যায়। নয়টার দিকে তার ছেলের মোবাইল নাম্বার থেকে তাকে ফোন করে জানানো হয় তার ছেলেকে অপহরন করা হয়েছে।
৩০ হাজার টাকা না দিলে তার ছেলে কে হত্যা করা হবে। দাবীকৃত টাকা বিকাশ নাম্বারে পাঠাতে বলে। এমন অভিযোগ পেয়ে তিনি তদন্ত নেমে প্রথমেই তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে জানতে পারেন যে অপহরনকারীদের দেওয়া বিকাশ নাম্বার বাদীর পুত্রের বন্ধু রাজিবের। বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে প্রথমে রাজিব কে পরে জনি কে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়।
এক্ষেত্রে কিছুটা কৌশল অবলম্বন করে আটককৃত রাজিব কে দিয়ে ফোন করে অপহরনের নাকট সাজানো মাস্টার মাইন্ড বাদীর পুত্র সজিবকে থানায় আসার জন্য বলে। এক পর্যায়ে সজিব থানায় আসলে অপহরনের সাজানো নাটক প্রকাশ পায়। পরিসমাপ্তি ঘটে অপহরনের সাজানো নাটক।