আম্মাজানের পর এবার সমন্বয়ক পরিচয়ে ভয় দেখাচ্ছে সাধারণ মানুষকে সিদ্ধিরগঞ্জের পাঠানটুলি এলাকার দর্জাল আসমার ছেলে ধর্ষক রিফাত! এমনকি গত ৪/৮/২০২৪ ইং তারিখে শিপন হত্যা মামলা রুজু হয় নারায়ণগঞ্জ সদর থানায়। সেই মামলাটিতে অজ্ঞাত আসামী করা হলে বর্তমানে প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহতের মায়ের জবানবন্দিতে এই ধর্ষক রিফাতের নাম আলোচনায় আসাতে উক্ত ধর্ষক রিফাতের মা ক্ষিপ্ত হয়ে তার ছেলেকে বাচাতে নির্মমভাবে খুন হয়া শিপনের মায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছে যা আজ শিপনের মা সাংবাদিকদের জানায়।
স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের আমলে প্রয়াত সাংসদ নাসিম ওসমানের সহধর্মীনি পারভীন ওসমান যিনি সর্বমহলে আম্মাজান হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি ছিলো। সেই সময়ে তার আশ্রয়-প্রশ্রয়ে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ খুন ছিনতাইয়ের সাথে জড়িত ছিলো সিদ্ধিরগঞ্জের পাঠানতুলি বাসস্টান্ডের আলাউদ্দিন আসমার ছেলে শফিকুল ইসলাম রিফাত। সেই রিফাত এখন সমন্বয়কের পরিচয় দিয়ে বেপরোয়াভাবে দাবিয়ে বেড়াচ্ছে নারায়ণগঞ্জ সহ সিদ্ধিরগঞ্জের প্রতিটি অলি গলি।
একাধিক সুত্রে জানা যায়, গোদনাইল পাঠানতুলি এলাকার শফিকুল ইসলাম রিফাত এক সময় অত্র এলাকায় নারায়ণগঞ্জের আতংক আজমেরি ওসমান ও তার মাতা আম্মাজানের ভয় দেখিয়ে ডিস ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিলেন। আর সেই প্রভাবে অত্র এলাকায় কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রনে নিয়ে নানা অপরাধের সাথে জড়িত হয়ে পড়েছিল। এরই ধারাবাহিকতায় সে বিভিন্ন স্কুল পড়ুয়া নাবালিকা মেয়েদেরকে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ সহ বিভিন্ন অপকর্ম করাতে বাধ্য করত। তখন কেউ ভয়ে মুখ খুলতনা ১৩/১২/২০২২ইং তারিখে ধর্ষণ ও হত্যা প্রচেষ্টার দায়ে উক্ত রিফাত ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি ধর্ষণের মামলা করেন ভুক্তভোগী খাদিজা নামের এক ছাত্রী। যার নং ২৫(৫)২২। যার চুড়ান্ত চার্জশিট হলে সে দোষী সাব্যস্ত হয়। এই মামলা রুজু হওয়ার পর দীর্ঘদিন উক্ত ধর্ষক পালিয়ে যায় পরিবার সহ। এক পর্যায়ে র্যাব ১১ তাদের কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করে কারাগারে প্রেরন করে।
দীর্ঘদিন জেল খেটে বাহির হয়ে এসে উক্ত ভুক্তভোগীকে মামলা তুলে নিতে হত্যার হুমকি প্রদান করলে পরবর্তীতে উক্ত ভুক্তভোগী এ ব্যপারে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় জিডি নং ৩১২ তারিখ ৩/৯/২৩ রুজু করেন। এবং বিগত ১২/১০/২৩ তারিখে এফ,আই,আর নং ৮২/২৩ রুজু করা হলে তাতে তারা দোষী সাব্যস্ত হলে আদালত নন জিয়ার নং ৬০৭/২৩ গ্রহন করে বিচার শুরু করেন। এবং মুচলেকা দিয়ে আদালত থেকে বের হয়ে এসে আবার উক্ত ভুক্তভোগী পরিবারকে এবং উক্ত ভুক্তভোগী পরিবারকে যারা সহযোগিতা করে তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মিথ্যে হয়রানি মূলক মামলা দেয়ার জন্য চেষ্টা করছে বলে জানায় উক্ত পরিবার। এমনকি বিগত ছাত্র আন্দোলনে নিহত পরিবারকে ভুল বুঝিয়ে মিথ্যে হয়রানি মূলক মামলায় ফাসিয়ে দিতে থানায় থানায় দৌড়ঝাপ করছে এই ধর্ষক পরিবার ।
এলাকায় খোজ নিয়ে জানা যায় ,ধর্ষক রিফাত হাজীগঞ্জের কিল্লায় নির্জন স্থানে গত ০৩/০৮/২০২৪ ইং তারিখে খুন হওয়া শিপন (১৯) হত্যার সাথেও জড়িত বলে শিপনের পরিবার অভিযোগ করেছেন। বিভিন্ন সুত্র থেকে জানা যায়, হাজিগঞ্জ কিল্লার আশ পাশ এলাকায় তার একটি ছিনতাইকারী গ্রুপ আছে যা সে নিয়ন্ত্রণ করে বলে এলাকাবাসী জানায়। এছাড়াও বৈষম্যবিারোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সাবেক সাংসদ শামীম ওসমান তার ছেলে অয়ন ওসমান এবং আজমেরী ওসমানের সাথে ঐক্যবদ্ধভাবেই নির্বিচারে ঘুলিবর্ষন করে এ রিফাত।
অত্র এলাকায় মাদক, চুরি,ছিনতাই,খুন,ধর্ষণ সহ সকল অপরাধের সাথে বিভিন্ন সময় জড়িত থাকে অত্র এলাকার আতংক এই রিফাত গ্রুপ। সাংবাদিক সহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ এই পথ দিয়ে রাতে বাড়ি ফিরতে গেলে এই ছিনতাইকারীদের হাতে নাজেহাল হতে হয় বিভিন্ন সময়।
যারা বিগত স্বৈরচার সাকারের আমলেও প্রভাব খাটিয়েছে আজমেরি ওসমান আম্মাজানের ভয় দেখিয়ে। আর এখন সে অত্র এলাকায় ছাত্র/সমন্বয়কদের নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন শ্রেনীর রাস্তার টোকাই নিয়ে সারা রাত ঘুরে বেড়ায় ও নানান অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে। যার ফলে এলাকাবাসী খুব আতংকে দিন পার করছে ।
ভুক্তভোগী এলাকাবাসীর দাবী, রিফাতকে দ্রুত গ্রেফতার করতে পারলে অত্র হাজীগঞ্জ কিল্লার পুল, পাঠানতুলি এলাকায় শান্তি ফিরে আসবে।
ধর্ষক রিফাতকে দ্রুত গ্রেফতারে পুলিশ সুপার ও র্যাব ১১ এবং সেনাবাহিনীর দৃষ্টি কামনা করেছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।