ভারতে বসে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ করলে বাংলাদেশের মাটিতে ভারতীয় দুতাবাস থাকতে পারবে না বলে জানিয়েছেন হেফাজত ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিক মামুনুল হক।
বুধবার (১৪ আগস্ট) বিকেলে দেশব্যাপী নৈরাজ্য প্রতিরোধ ও শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার উদ্যোগে স্থানীয় পৌর মুক্ত মঞ্চে আয়োজিত সমাবেশ তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস বাতিল করে অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার একটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। তবে ১৫ আগস্টকে কেন্দ্র করে পরাজিত ফ্যাসিবাদী শক্তি নরেন্দ্র মোদীর ঘরে বসে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলাদেশে বিশৃংখলা সৃষ্টি করার জন্য শেখ হাসিনা উস্কানী দিচ্ছেন।
তিনি আরো বলেন, বিগত ১৫ বছরে হাতুড়ী লীগের পরিচিতি পাওয়া আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতারা সেই অপতৎপরতা চালানোর চেষ্টা করছে। তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, বাংলাদেশ আজ স্বাধীন। ছাত্র-জনতার এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশে ১৫ আগস্টকে কেন্দ্র করে কোনো নৈরাজ্য সৃষ্টির পায়তারা করা হয় তাহলে প্রতিহত করা হবে। এজন্য বৈষম্যছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ ও অর্ন্তবর্তীকালী দায়িত্বশীলদের পাশাপাশি হেফাজতের নেতাকর্মীদের ১৫ আগস্টসহ গোটা আগস্ট মাসে সতর্ক থাকতে হবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতি হলো প্রতিহিংসার রাজনীতি। ১৯৭৫ সালে সাড়ে তিন বছরে ৩০ হাজার যুবককে হত্যা করা হয়েছে। এ দেশে বাকশাল কায়েমের মধ্য দিয়ে মানুষের সকল অধিকার হরণ করা হয়েছিল। অধিকার হারা মানুষ তখন ক্ষুব্ধ হয়ে ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে অভ্যুত্থান পরিচালনা করেছিল। তখন শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছিল যে জাতি তার বাবাকে হত্যা করেছিল সে জাতির কাছ থেকে প্রতিশোধ গ্রহণ করবেন। বিগত ৪৫ বছর ধরে শেখ হাসিনা প্রতিশোধের রাজনীতি করছেন। তিনি এখন খুনের নেশায় মাতাল। তিনি ভারতের নরেন্দ্র মোদীর সাথে আখড়া বেধেছেন। ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন আদালতে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে। তিনি শেখ হাসিনাকে দেশে এনে বিচারের দাবী জানান এবং সারাদেশে হেফাজত কর্মীদের বিরুদ্ধে করা বিভিন্ন মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারেরও দাবি করেন।