মূল্যস্ফীতি বাড়তির দিকে। গত মার্চ পর্যন্ত এ হার ৬ দশমিক ২২ শতাংশ, যা ১৭ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এটা সরকারি হিসাব। আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট প্রণয়নে মূল্যস্ফীতি কমানোর দিকেই নজর দেবেন বলে জানালেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
আজ বুধবার সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত কমিটির সভা শেষে ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠিত ব্রিফিংয়ে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবে, গত ফেব্রুয়ারি মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৬ দশমিক ১৭ শতাংশ। আর জানুয়ারিতে ছিল ৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ। এর আগে ২০২০ সালের অক্টোবরে মূল্যস্ফীতি ছিল ৬ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
অর্থমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন ছিল আগামী বাজেটে ভর্তুকির চাপ কমাতে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও সারের দাম বাড়ানো হবে কি না। জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ভর্তুকি নয় মূল্যস্ফীতি ব্যবস্থাপনাই মুখ্য। কিন্তু যুদ্ধ (রাশিয়া-ইউক্রেন) থামার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। যুদ্ধই এ মুহূর্তে বড় ঝুঁকির বিষয়।’
আগামী অর্থবছরে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ৫ দশমিক ৫ শতাংশ ধরা হচ্ছে বলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সঙ্গে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) হারকেও মেলান অর্থমন্ত্রী। বলেন, যুদ্ধ পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে গেলে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা সংশোধন করা হবে। প্রয়োজনে আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছর এবং চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রাও সংশোধন করা হবে।
চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হারের লক্ষ্যমাত্রা ৭ দশমিক ২ শতাংশ এবং আগামী অর্থবছরের জন্য তা ৭ দশমিক ৫ শতাংশ ধরার পরিকল্পনা আছে সরকারের।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এ হার আগেই নির্ধারণ করা হয়েছিল। এখন পর্যন্ত তা ঠিক রাখা হয়েছে। কিন্তু যুদ্ধ পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে গেলে এ লক্ষ্যমাত্রা সংশোধন করতে হবে।’