পরপারে চলে গেলেন দুঃর্দিনের আওয়ামী লীগের তৃনমুল পর্যায়ের নেতা। বীর মুক্তিযোদ্ধা নারায়নগন্জ সিটি কর্পোরেশন ১০ নং ওয়ার্ডের সাবেক আওয়ামী লীগ সভাপতি আক্তার হোসেন গতকাল ঈদের দিন সকালে ইন্তেকাল করেছেন। রাষ্টীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে।বহু আন্দোলন – সংগ্রাম,মামলা – হামলার সঙ্গী ছিলাম।অনেক মর্মস্পর্শী স্মৃতি নিজেকে ব্যথাতুর করতেছে।১৯৯৩ ইং সালের একটা ঘটনা- ঐ সময় চিত্তরঞ্জন কটন মিলস এলাকায় আওয়ামী লীগের একটি অফিস ছিল।শ্রমিক – কর্মচারী, অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের নিয়ে অফিসটি মুখরিত থাকত।প্রতিদিন বিভিন্ন কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করতাম।একদিন সন্ধ্যায় চৌধুরীবাড়ী থেকে আসার সময় দেখলাম -কিছু লোক টিনের চাল,বেড়া মাথায় করে নিয়ে যাচ্ছে।একটু এগুতেই পরিচিত লোকেরা আমাকে সামনে যেতে নিষেধ করলো।জানলাম- গুলিকরে আমাদের কয়েকজন কর্মীকে আহত করে, আওয়ামীলীগ অফিসটিতে আগুন দিয়েছে। ভোররাতে খবর পেলাম পুলিশ আমাকে খুজতেছে।অবাক কান্ড! চিত্তরঞ্জন মিল এলাকায় বিএনপির কোন অফিস ছিল না।আমাদের অফিস লুট ও আগুন দেওয়ার পর ওটা হয়ে গেল বিএনপি অফিস।ঐ অফিস লুট ও অগ্নিসংযোগের দায়ে আসামী করলো(১)আক্তার হোসেন(২) নাজমুল ইসলাম বাবুল (৩)শাহআলম(৪)বি এম,আমিরহোসেন(৫)আহম্মদ হোসেন রুসদী(৬)মনির হোসেন।এমনি বহু মামলা ও আন্দোলনের সাথী ছিলেন আমার প্রিয় আক্তার ভাই।পরম করুনাময় আল্লাহ তায়ালার নিকট প্রার্থনা করছি, “আক্তার ভাইয়ের সমস্ত গুনাহ /ভুল মাফ করে উনাকে বেহেশতের উচু মাকামে স্হান দিয়ে জান্নাতবাসী করুন”।
(৮০ দশকে বঙ্গবন্ধু কন্যার আস্থাভাজন তুখোড় ছাত্রনেতা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সাবেক ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী নাজমুল ইসলাম বাবুলের ফেইসবুক টাইমলাইন থেকে নেয়া)